প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

সরলাময়ী উচ্চ বিদ্যালয় টি ১৯৯৫ সনে প্রতিষ্ঠিত।বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বীরমুক্তি যোদ্ধা বাংলাদেশের একমাত্র নারী কমান্ডার মিস্ আশালতা বৈদ্য।স্হানঃগ্রাম:লাটেঙ্গা,ডাকঘর: ভাঙ্গারহাট,উপজেলা: কোটালীপাড়া ,জেলা: গোপালগঞ্জ। প্রতিষ্ঠাতার পিতার নাম :হরিপদ বৈদ্য,মাতার নাম: সরলাময়ী বৈদ্য।তিনি শৈশব থেকেই সকল বিষয়ে/কাজে অগ্রণী ছিলেন। ছয় ভাই বোনে মধ্যে তিনিদ্বিতীয়। তিন বোনের পর এক ভাই,তারপর বোন শেষে ভাই।তখনকার সময়ে গ্রামের মানুষের বর্ষাকালে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা।বোনেরা বড় হওয়ায় তিনি নিজেই নৌকা চালিয়ে নারিকেলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে যেতেন। গ্রামের মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো না।তাই সকল মা/বাবার ইচ্ছে থাকা সত্বেও নৌকা কিনে বই,বেতন দিয়ে সন্তানদের পড়াশোনা করানো স্বপ্নই থেকে যেত।যা তাঁর মনে নাড়া দেয় এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে “দরিদ্র /পিছিয়ে পড়া মানুষের শিক্ষা লাভের জন্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করব”।সে প্রতিজ্ঞা পূরণের জন্য কঠোর সংগ্রাম করতে হয়েছে। পড়ালেখার পাশাপাশি সামাজিক কাজে থাকতেন সবার আগে।মহান মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করে প্রতিষ্ঠা করেন সেবামূলক সংগঠন “সূর্যমুখী সংস্হা”।শুরু হয় সেবাদানের কর্মযজ্ঞ। এর মধ্যে যাতায়াতের জন্য ওয়াপদা খাল থেকে নিজ বাড়ীর পাশহয়ে নৈয়ারবাড়ী পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার খাল খনন করেন। যা আশালতা খাল নামে পরিচিত। এরপর আসে সেই মহেন্দ্র ক্ষণ।১লা জানুয়ারি ১৯৯৫ পূর্ব পরিকল্পনা মত প্রতিষ্ঠা করেন মায়ের নামে ,সরলাময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ‘।আর্থিক কারণে যেন কেউ পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য বিনা বেতনে ,বিনামূল্যে বই দিয়ে এবংবিনামূল্যে স্কুল ড্রেস দিয়ে যাত্রা শুরু। এককভাবে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার অনুদানেই যাবতীয় ব্যয়ভার (এমপিওভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক বেতনঅফিস খরচ)পরিচালিত হত।তার ধারাবাহিকতায় আজো শিক্ষর্থীদের বিনাবেতনে পড়া-লেখা করানো হয়।বিদ্যালয়টি আজো অনগ্রসর দরিদ্র মানুষের কাছে শিক্ষা দানের বাতিঘর হিসাবে স্বমহিমায় পরিচালিত হয়ে আসছে।